
Reluctance in SIR form fillup, tribals steadfast in 'Majhi Sarkar' identity. Administration returns empty-handed from two villages in Ranibandh
এসআইআর গণনাপত্রে অনীহা, 'মাঝি সরকার' পরিচয়ে অটল আদিবাসীরা। রাণীবাঁধের দুটি গ্রাম থেকে খালি হাতে ফিরল প্রশাসন*
বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় ভোটার গণনাপত্র পূরণে অনীহা দেখালেন রাণীবাঁধের রাওতোড়া পঞ্চায়েতের মুচিকাটা ও ভেদুয়াশোল গ্রামের আদিবাসীরা। ওই দুই গ্রামে গিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হল ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকদের।
সূত্রের দাবি, এই দুই গ্রামে মোট ৭৯ জন আদিবাসী বাসিন্দা এখনও ভোটার গণনাপত্র পূরণ করেননি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভিনরাজ্যের কিছু মানুষ এসে 'সমাজবাদ আন্তঃরাষ্ট্রীয় মাঝি সরকার'-এর নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় গ্রামের একাংশ ভোটার গণনাপত্র পূরণ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরত রয়েছেন।
এদিন মুচিকাটা গ্রামের ডুংরিডি পাড়ায় প্রথমে বৈঠকে বসেন রানিবাঁধের বিডিও অনীশা যশ, খাতড়ার এসডিপিও অভিষেক যাদব, রানিবাঁধ থানার আইসি রজত চৌধুরী ও বারিকুল থানার আইসি কৃষ্ণেন্দু ঘোষ। আধিকারিকরা ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে ভবিষ্যতে কী সমস্যা হতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, তাঁরা 'মাঝি সরকার'-এর পরিচয়পত্র নিয়েছেন এবং 'ভারত সরকারের নাগরিকত্ব গ্রহণ করবেন না।' একজন বাসিন্দার বক্তব্য "আমরা দু-নৌকায় পা দিয়ে চলি না। যখন মাঝি সরকারে নাম লিখিয়েছি, তখন ভারত সরকারের নাগরিকত্বে থাকব না।" প্রশাসনের বোঝানোর চেষ্টা বাড়তেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন অনেকেই। মুচিকাটা থেকে ব্যর্থ হয়ে আধিকারিকেরা যান ভেদুয়াশোলে। সেখানে খোলা জায়গায় আয়োজিত আলোচনাতেও উত্তেজনা তৈরি হয়। বহু বাসিন্দা প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, কয়েকজন ফর্ম পূরণ না করায় এত মাথাব্যথা কেন? আপনাদের ডেকেছে কে? অসুখ হলে আসেন না, ঝড়-জলে ঘর ভাঙলে সাহায্য মেলে না। আমরা আগেও খিদেয় ছিলাম, পরেও থাকব। এসআইআর করব না।"
সনজিৎ মুর্মু নামে স্থানীয় ভেদুয়াশোল গ্রামের বাসিন্দা জানান সরকারের যে অফিসাররা এখন এসছে,তারা আগে কেন আসেনি।তাদেরকে কড়া সুরে বলে দেওয়া হয়েছে আমরা এস আই আর ফরম ফিলাপ করব না আমাদের 'মাঝি সরকার' পরিচয় পত্রই ঠিক আছে।
দীর্ঘ আলোচনার পরও কাউকে রাজি করাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হয় প্রশাসন ও পুলিশকে। তবু হাল ছাড়ছে না প্রশাসন। আধিকারিকদের দাবি, "আমরা আবারও গ্রামে গিয়ে মানুষজনকে বোঝানোর চেষ্টা করব। ভোটার তালিকায় নাম থাকা কেন জরুরি, সে বিষয়ে ধারাবাহিক প্রচার চলবে।"
বাঁকুড়া জেলাশাসক সিয়াদ এন জানান, আমরা প্রশাসনের তরফ থেকে গ্রামবাসীদেরকে আরো বোঝাবো, বোঝানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।