
ওয়াকক সম্পত্তি আসল হকদার কার
ওয়াকফ সম্পত্তি আসলে আল্লাহর সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মুসলিম আইন দ্বারা স্বীকৃত ধর্মীয়, ধার্মিক বা দাতব্য উদ্দেশ্যে স্থায়ীভাবে উৎসর্গ করা স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি।
🎯 ওয়াকফ সম্পত্তির মালিকানা ও উদ্দেশ্য
* মালিকানা: একবার কোনো সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত হলে, তা আর দাতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকে না; বরং এটি আল্লাহর কাছে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। অর্থাৎ, এর ওপর আর কোনো ব্যক্তির মালিকানা থাকে না।
* ওয়াকিফ: যিনি সম্পত্তি দান করেন, তাকে ওয়াকিফ বলা হয়।
* উদ্দেশ্য: ওয়াকফ সম্পত্তির মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন—
* শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও পরিচালনা
* মসজিদ, কবরস্থান, বা অন্যান্য ধর্মীয় স্থান
* গরিব ও অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেওয়া বা সাহায্য করা
* অন্যান্য দাতব্য ও সেবামূলক কার্যক্রম
🤝 আসল ভাগিদার বা উপকারভোগী কারা?
ওয়াকফ সম্পত্তির আসল ভাগিদার বা উপকারভোগী হলো সেই জনগোষ্ঠী বা উদ্দেশ্য, যার জন্য সম্পত্তিটি উৎসর্গ করা হয়েছে। তারা সরাসরি এর ভোগ বা সুবিধা লাভ করে।
* ওয়াকফ সম্পত্তির আয় বা সুবিধা চ্যারিটি বা সেবার কাজে ব্যবহার করা হয়।
* অনেক ক্ষেত্রে, দাতার (ওয়াকিফ) পরিবারের সদস্যরাও (উত্তরসূরী) এর সুবিধা ভোগ করতে পারে, তবে তা অবশ্যই ওয়াকফ আইনের বিধান মেনে এবং মূল জনকল্যাণমূলক উদ্দেশ্যকে বজায় রেখে।
🏛️ পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ
ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে।
* এটি একটি আইনি সংগঠন যা সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতা রাখে (তবে সাধারণ ওয়াকফ সম্পত্তি সহজে হস্তান্তর করা যায় না)।
* ভারতে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ দেশের সব ওয়াকফ বোর্ডের তদারকি করে।
এই ভিডিওতে ওয়াকফ সম্পত্তি কারা ভোগ করেন এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু সামাজিক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে: ওয়াকফ সম্পত্তি ভোগ করে কারা? ভোগ করে আশরাফরা। আজলফরা এই অধিকারই পায় না : প্রসূন মৈত্র.