logo

জ্যান্ত মানুষ ভোটার লিস্টে মৃ*ত এবং মৃ*ত মানুষ ভোটের লিস্টে জ্যান্ত

নিজস্ব সংবাদ দাতা :মুর্শিদাবাদ :২৪শে নম্ভেম্বর ২০২৫ :
আজকে যে খবরের দিকে নজর রাখতেই হচ্ছে সেটি হচ্ছে জ্যান্ত মানুষ ভোটার লিস্টে মৃত এবং মৃত মানুষ ভোটের লিস্টে জ্যান্ত সেই খবরের দিকেই নজর রাখবো। অবাক কান্ড না,
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম ব্লকের পাঁচগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোষপাড়ায়। যার ২০২৫ সালের বুথ নম্বর ২৫. বুথ কেন্দ্রটি হলো পাঁচগ্রাম P.H.E.
এই বুথের মহারানী ঘোষ নামে ৬০, ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা ২০২৫ এর ভোটার লিস্টে নাম না থাকায় চিন্তিত হয়ে পরেছেন।
তিনি ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট দিয়েছেন, সেই সময়ে তার নাম ছিলো, এরপরে ২০২৪ সালের লোক সভা ভোটে তার নাম ডিলিট করে দেওয়া হয়, যার ফলে লোকসভা ভোট দিতে পারেন নি তিনি, এরপর থেকে ওই বুথের BLO কে তার নাম ভোটার লিস্টে তোলার কথা বললেও ২০২৫ সালের ভোটের লিস্টে নাম আসেনি বলে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে অভিযোগ করেন।
এর ফলে তিনি SIR এর এনুমেরেশন ফর্মটি পান নি।
যার ফলে মহারানী ঘোষ ভেঙে পরেছেন।
মাথায় দিয়েছেন হাত। এই বয়সে কি হবে কোথায় যাবেন ভেবে উঠতে পারছেন না এই বয়স্ক বৃদ্ধা।
অন্যদিকে ওই ভোটের লিস্টে দেখা গেলো সরু ঘোষ, ধুলুবালা ঘোষদের মতো ১০ বছর আগে অথবা ৮বছর আগে অনেকে মৃত্যু হয়ে গেছে, সেই সমস্ত ব্যক্তি দের এখনো পর্যন্ত জীবিত করে রেখে ভোটার লিস্টে নাম রেখে দিয়েছে। এখনো পর্যন্ত সেই সমস্ত ব্যক্তিদের ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ যায়নি। ওই সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের নামে SIR এর এনুমেরেশন ফর্ম গুলোও চলে এসেছে, তবে এখন সেই ফর্ম BLO তাদের পরিবারের হাতে দেননি, যেহেতু মৃত ব্যক্তি এরা।
এই সমস্ত পরিবারের লোকেরা ক্যামেরার সামনে জানাই তারা একাধিক বার ভোটে নাম তুলতে আসেন তাদেরকে নাম কেটে দেওয়ার কথা বললেও নাম কাটে নি।
এই নিয়ে ওই বুথের BLO কে ফোনের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বিষ্ণু ঘোষের মায়ের নাম ৬নম্বর ফর্ম পূরণ করলে চলে আসবে, মৃত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বলেন যেহেতু হয়তো কোনো কারনে নাম গুলো ভোটের লিস্ট থেকে যায়নি, আফিসিয়াল ভাবে জানানো হয়েছিলো, আসলে ওই সময়ে এতটা পরিমানে ডেথ সার্টিফিকেট ছিলো না তাই হয়তো নামগুলো বাদ যায়নি।
তাহলে প্রশ্ন কি উঠছে মহারানী ঘোষের নাম ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কিভাবে ২০২৪ এ ডিলিট হলো।
BLO আরও বলেন ভোট তো কেউ দু নম্বর ভাবে দেয়নি, এখানে আবারো প্রশ্ন উঠছে একথা তিনি কিভাবে জোর গলায় বলতে পারেন মৃত ব্যক্তিদের নামে কেউ এতদিন ধরে ভোট দেননি।
তাহলে কি এই কথার পিছনে সত্যিই ভোট বাক্স বাড়ানোর জন্যই নাম গুলো রেখে দেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্নও উঠছে।
না হলে একই বুথে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর এতো বছর পর ও কিভাবে তাদের ভোটের লিস্টে নাম থাকতে পারে?

20
3058 views