logo

নদীয়ায় একেবারে সাপ ধরে নিয়ে হাসপাতালে কামড় দেওয়ার পরেই

নদীয়ার চাকদহ থানার চাকদহ ব্লকের তাতলা এক নম্বর পঞ্চায়েতের ধনীচা নতুন পাড়ার বাসিন্দা, বিকাশ দে (৬০ বছর)। সোমবার দুপুরে মাঠে কাজ করার সময় সাপে ছোবল দেয়। তিনি ছোবল দেওয়া সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিকের প্যাকেটে সাপটিকে ধরে ভাই এবং আরো একজনকে নিয়ে টোটো করে সোজা হাসপাতালে চলে আসেন। আর তার ভাই চিকিৎসকের সামনে প্লাস্টিকের প্যাকেটে সাপটিকে দেখিয়ে বলেন "আমার দাদাকে এইসাপ ছোবল দিয়েছে দাদাকে বাঁচান ডাক্তার বাবু।" সোমবার দুপুর ডেটটা নাগাদ চাকদহ স্টেজ জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে রোগী দেখছিলেন চিকিৎসক পিনাকী চট্টোপাধ্যায়। আরো কয়েকজন রোগী ছিলেন রোগীর সাপ ধরে নিয়ে আসা দেখে অবাক হয়ে যান।
চিকিৎসক পিনাকি চট্টোপাধ্যায় সাপটাকে ভালো করে দেখে বলেন যে "মনে হচ্ছে এটি জলঢোরা।"এরপরে সাপে ছোবল দেওয়া জায়গাটা ভালো করে দেখে বলেন "ছোবল দেওয়ার জায়গায় কয়েকটা দাগ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে"। বিষাক্ত কিছু নয়। চিকিৎসক পিনাকি চ্যাটার্জি আরো বলেন যে বেশিরভাগ মানুষ আতঙ্কে মারা যান সাপের ছোবল দেওয়ার পরেই। আতঙ্ক হওয়া তো দূরের কথা সাপটাকেই সঙ্গে করে নিয়ে চলে এসেছেন পরিবার-পরিজনরা। তিনি আরো বলেন যে সময় মতো রোগীকে নিয়ে আসার ফলে চিকিৎসা করতে সুবিধা হয়েছে। চিকিৎসা করার সুযোগটাও পাওয়া গেছে। এদিকে চাকদহ ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার সর্বানন্দ মধুর বক্তব্য এই হাসপাতালে সাপে কামড় দেয়া যোগীদের চিকিৎসা করা হয়। এবং তাদের এভিএস দেওয়া হয়। অতিরিক্ত কিছু বুঝলে তাদের প্রয়োজনে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়।

10
978 views