logo

পুত্র শোকে,মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

সংবাদ প্রতিবেদন

কোলাঘাট রাইন গ্রামে হৃদয়বিদারক ঘটনা: একদিনে মায়ের পর ছেলেও প্রয়াত

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট বিট হাউস থানার অন্তর্গত রাইন গ্রামে ঘনিয়ে এলো চূড়ান্ত শোকের ছায়া। গ্রামের পরিচিত সমাজসেবী ও সাহিত্যপ্রেমী তাপস বৈদ্যের পরিবারে ঘটল এক অভাবনীয় দুর্ঘটনা। জেলা পুলিশ সুপার অফিসের করণিক রমেশ বৈদ্য — তাপস বৈদ্যের ভাই — শনিবার হারালেন তাঁর একমাত্র ছেলে শুভার্থীকে (১৮)।

পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার দুপুরে শুভার্থী স্নান করতে গিয়ে আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যান বাথরুমেই। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চারদিক থেকে আত্মীয়-প্রতিবেশী, এমনকি জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা উপস্থিত হন রাইন গ্রামে।

শুভার্থীর এই অস্বাভাবিক, অকস্মাৎ মৃত্যুশোক সইতে না পেরে তাঁর মা মানসী বৈদ্য সন্ধ্যাবেলা বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে নিচে ঝাঁপ দেন। গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও, শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাঁকেও[10][2]। তাদের মৃত্যুতে গোটা পরিবারের পাশাপাশি, এলাকার সাধারণ মানুষও শোকস্তব্ধ। শনিবার রাতেই ছেলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়, রবিবার মায়ের দেহও ময়নাতদন্ত শেষে দাহ করা হয়।

তাপস বৈদ্য, রমেশ বৈদ্য ও মানস বৈদ্য — তিন ভাই-ই নিজেদের কর্মজীবন এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য সুপরিচিত ও ব্যক্তিত্ববান। গ্রামের মানুষ তাঁদের সততা, পরোপকার ও আন্তরিকতার জন্য শ্রদ্ধা করেন। এমন ঘটনার আকস্মিকতায় আজ রাইন গ্রামের আকাশ-বাতাস ভারী, সর্বত্র শোকের ছায়া[2][10]।

পরিবারের এই চরম বিপর্যয়ের মুহূর্তে গোটা রাইন গ্রাম, কোলাঘাট এবং জেলা জুড়ে মানুষের মুখে একটাই প্রার্থনা — পরিবারের বাকিরা যেন শোক সামলে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।

11
308 views