
“রিচা ঘোষ প্রমাণ করে দিয়েছেন—প্রত্যেক বাবা যদি মেয়েকে বিচারবুদ্ধি ও সাহসে গড়ে তুলতে শেখায়, তবে স্বপ্নও বিশ্বজয় করতে পারে” — Babai Sen-এর কলমে
🎬 (Babai Sen-এর কলমে)
শিলিগুড়ি, ভারত:
শিলিগুড়ির ভেজা সকালের আবহে যখন মাঠ এখনও ঘুমচ্ছে, ঠিক সেই সময় এক কিশোরী হাতে ব্যাট নিয়ে দ্রুত পা ফেলছে অনুশীলনের পথে। চারপাশে শুধু ছেলেদের প্র্যাকটিস, তবু তার চোখে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। কারণ তার নাম রিচা ঘোষ—এবং তার স্বপ্নটা ছিল সাধারণের চেয়েও অনেক উঁচু।
রিচা প্র্যাকটিস করেছে শুধু ক্রিকেট মাঠে নয়, সমাজের ধ্যানধারনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও। তার সঙ্গী ছিলেন একজন—তার বাবা। তিনি বলতেন, “ভয় পেলে হবে না, শট মারতে হলে সামনে এগিয়ে আসতে হয়।” আজ মনে হয়, রিচা শুধু ক্রিকেট খেলেনি—সে প্রমাণ করেছে, মেয়েরা সুযোগ পেলে নয়, লড়াই করেই জেতার অধিকার আদায় করে।
ভারতের বিশ্বজয়ী মুহূর্তে যখন পুরো দেশ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছে, তখন টিভির পর্দার ওপাশে বহু চোখে জল এসেছে গোপনে—কারণ সেই দলের অংশ আমাদের নিজের বাংলার মেয়ে, রিচা ঘোষ।
রিচার গল্পে ফুটে ওঠে এক বাবার নীরব ত্যাগ—যিনি নিজের স্বপ্নটা মেয়ের হাতে তুলে দিয়ে পাশে থেকেছেন বিনা প্রচারে। কোনও আলো, কোনও ক্যামেরা, কোনও স্পনসর নয়—শুধু মধ্যবিত্ত মানসিকতার ভিতর লুকিয়ে থাকা অসাধারণ সাহস।
আজ তাই মনে হয়—
রিচা কাদা ছাপিয়ে ফুটে ওঠা এক পদ্ম।
সে শুধু ক্রিকেটার নয়, সে এক চলমান কবিতা।
যেখানে প্রতিটি বাউন্ডারি লেখা আছে ঘামের কালি ও এক বাবার আশীর্বাদে।
রিচা ঘোষ জিতেছে শুধু ম্যাচ নয়—জিতেছে দেশের হাজারো মেয়ের স্বপ্ন দেখার অধিকার।
বাংলা তাকে স্যালুট জানায়, ভারত তাকে গর্ব বলে ডাকে।
রিচা, তুমি খেলে যাও—
আমরা তোমার গল্প লিখে যেতে থাকি।
— Babai Sen