logo

জন্ম সুত্রে নাগরিক ভারতের,তাই সত্বেও তাদের নেই নিজ ভূঁই।

এমনি চাঞ্চল্যকর দাবি নদীয়ার পলাশি থেকেন নবান্নের পথে রওনা হওয়া ভূমি ও গৃহহীন মানুষের প্রতিনিধিদের। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী জন্মসুত্রে ভারতের নাগরিক হলেও নেই তাঁদের স্থায়ী আশ্রয়। নেই মাথার উপরে স্থায়ী ছাদ। দারিদ্রতা ছায়াসঙ্গী আর গোদের উপর বিষফোঁড়া সরকারী উদাসীনতা।তাই জীবনধারা চির সঙ্গী রীফিউজী বা উদ্বাস্তু। তাঁদের একটাই দাবি নিয়ে নবান্ন দুয়ারে 'নিজভূমি নিজগৃহ' বাস্তবায়ন করার আকুতি নিয়ে। প্রতিনিধি দলের বক্তব্য প্রখর গ্ৰীষ্ম,বর্ষা শীতের মধ্যে তাঁরা রেলস্টেশন প্লাটফর্ম প্রতিত জমি সাবওয়ে কিংবা রাস্তার ধারে শামিয়ানা টানিয়ে দিন কাটানো। বিষাক্ত পোকামাকড় সাপে কামড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। উক্ত আন্দোলনের অন্যতম পাঁচ প্রতিনিধি আতাউর রহমান আইনজীবী রচনা সরকারের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ইকাবুল শেখ আইনের ছাত্র কায়দার মণ্ডল চাষী ও রহমতউল্লাহ শেখ ব্যবসায়ী। সম্প্রতি পহেলা আগষ্ট
পলাশী থেকে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। নদীয়ার বিভিন্ন রেল সংলগ্ন এলাকা বস্তি পূর্ত দপ্তর জায়গায় গড়ে ওঠা অস্থায়ী ঘর খালপাড় চড় এবং ভাড়া করে থাকা দরিদ্র পরিবারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছেন পদযাত্রা বর্তমানে বাদকুল্লায় পৌঁছে গেছে। আতাউর রহমান ের দাবি অনেকে ঘাস জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ রয়েছেন সেগুলোর মালিকরা কেউ বেঁচে নেই তাদের কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। এদের মধ্যে অনেকেই নদীর চর খালের ঝাড় ঘেঁষে ঘর তুলেছেন। ভগ্নপ্রায় বাড়িতে কেউবা ভাড়া থাকেন তাই দায়িত্ব নেই জীবনে এই মানুষগুলোর। যেকোনো সময় উচ্ছেদ হতে হবে সরকারের উচ্ছেদ নোটিশে।
তাই এই বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা তাদের একটাই আকুতি বাঁচার মতন মাথার উপর চাঁদ এবং বাসযোগ্য এক টুকরো জমি দিতে হবে চাষ ও বসবাসযোগ্য জমিতে গৃহ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ।

9
54 views