চিত্তরঞ্জনে আন্তঃরাজ্য বাইক চোর চক্রের পর্দা ফাঁস: আরপিএফ-এর বড় সাফল্য
চিত্তরঞ্জন, ১১ জুন, ২০২৪: অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার আশেপাশে থেকে বাইক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা এখন কিছুটা স্বস্তি বোধ করছেন। আরপিএফ-এর বিশেষ গোয়েন্দা বিভাগ একটি আন্তঃরাজ্য বাইক চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ডে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।ধরা পড়লো দুই কুখ্যাত চোরঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার কর্মাতাঁড়ের বাসিন্দা বিকাশ কুমার পণ্ডিত (৩০) এবং নাসিরুদ্দিন আনসারি (২৮) নামক দুই বাইক চোরকে আজ সকালে চিত্তরঞ্জন থেকে বাইক চুরি করার সময় আরপিএফ হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাদের কাছ থেকে একটি 'মাস্টার কি' উদ্ধার করা হয়েছে, যা দিয়ে তারা হিরো কোম্পানির যেকোনো বাইক সহজেই আনলক করতে পারতো।লাগাতার চুরির ঘটনায় বাড়ছিল আতঙ্কউল্লেখযোগ্য যে, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ট্র্যাকশন মোটর স্ট্যান্ড থেকে তিনটি বাইক চুরি হয়ে গিয়েছিল। ৪ এপ্রিল, ৫ মে এবং ২ জুন - এই তিন দিনে বাইক চুরির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঘটনাগুলি আরপিএফ-এর নজরে আসে এবং ৭ জন অভিজ্ঞ কর্মী ও আধিকারিকের একটি বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু করা হয়।ঝাড়খণ্ডে তল্লাশি অভিযান জারিপ্রাথমিক তদন্তে আরপিএফ জানতে পারে যে, ঝাড়খণ্ড থেকে পরিচালিত একটি বাইক চুরির চক্র এই চুরিগুলি সংঘটিত করছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আরপিএফ আজ সকালে জাল পাতে এবং এর ফলস্বরূপ বিকাশ ও নাসিরুদ্দিনকে আটক করা সম্ভব হয়। ধৃত চোরদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরপিএফ কর্মাতাঁড়ের এক ব্যক্তির নাম জানতে পারে, যে তাদের চুরি করা বাইক কিনতো। এরপর আরপিএফ ধৃত চোরদের নিয়ে ঝাড়খণ্ডের কর্মাতাঁড়ে সেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তাকে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি চুরি করা বাইক উদ্ধার করা হয়। যদিও এটি চিত্তরঞ্জন থেকে চুরি হওয়া বাইক ছিল না, যেমনটা বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে।চিত্তরঞ্জন থেকে চুরি হওয়া বাইকগুলি উদ্ধারের জন্য আরপিএফ-এর বিশেষ দল বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় জোরদার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। আরপিএফ-এর এই বড় সাফল্যে নিঃসন্দেহে চিত্তরঞ্জন থেকে বাইক চুরির ভয় অনেকটাই কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের চিত্তরঞ্জন পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশও তাদের তদন্ত চালিয়ে যাবে।সংবাদাতা :- A.Islam