logo

এবার শ্মশানের থেকে সমাধি খুঁড়ে দেহ পাচার? হচ্ছেটা কি বাংলায়

কতো ধরনের পাচার দেখলাম বিগত দশকে এই বাংলায়। গরু পাচার মানব পাচার। এবার একদম মৃত মানুষকে সমাধি দেওয়ার পর সেই সমাধি খুঁড়ে মৃত মানুষের দেহ পাচার । এ যেন সেই দূর্ভিক্ষের সময় মৃত মানুষের দেহ মানুষি নাকি ভক্ষণ করেছে। তেমনি কি দিন এসে গেলো? এ খাওয়া হলো না কিন্তু দেহ পাচার করে তো অর্থ পাচ্ছে সেই অর্থে তো নিশ্চয়ই খাওয়া দাওয়া ও ঠাঁট বাঁট চলছে তো?
যাক অনেক বাজে কথা হোলো এবার আশা যাক আসল কথায়।
নদীয়ার ধর্মীয় স্থান নবদ্বীপ যেখানে সনাতন ধর্মের পীঠস্থান। সেখানেই এই মৃতদেহ সমাধি থেকে মাটি খুঁড়ে দেহ তুলে পাচার? তবে পূর্বে বেআইনি ভাবে নবদ্বীপের গঙ্গার বিভিন্ন চর থেকে মৃতদেহ বা কঙ্কাল তুলে পাচারের অভিযোগ আছে।৬ জুন রাতে নদীয়ার আমঘাটার বাসিন্দা মৃত আশি বছরের হরেন্দ্রলাল নাথের (বৈষ্ণব) দেহ সমাধিস্থ করতে গিয়ে নবদ্বীপ শ্মশানের সমাধিস্থলে জুড়ে মাটি তুলে একাধিক সদ্য খোঁড়া গর্ত দেখতে পান শ্মশান বন্ধুরা । সঙ্গে সঙ্গেই তারা মোবাইলে ছবি তুলে সমাজ মাধ্যমে ছবি পাঠানোর পর শ্মশান কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। আর সমাজ মাধ্যমে পোষ্টের পরেই শনিবার সকাল থেকেই চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়। এরপরই পুরসভা ও পুলিশ তৎপর হয়ে তদন্ত শুরু করে। এই বিষয়ে নবদ্বীপের আই সি জানান এই বিষয়ে অভিযোগ জমা পরেছে । শ্মশানের সমাধিস্থলে গিয়ে দুটি গর্ত দেখা গিয়েছে। তবে এবিষয়ে তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয়। তবে সমাধিস্থলে ২৪ ঘন্টা ব্যাপী পাহারার ব্যবস্থা হয়েছে। তবে রাজনৈতিক চাপান উতোর অব্যাহত। তবুও নবদ্বীপের পুরসভার চেয়ারম্যান বিমান কৃষ্ণ সিহা বলেন অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর এটাও একটা সস্তার রাজনীতি বলে মন্তব্য করেন। কোনো প্রমাণ ছাড়া এমন মন্তব্য বিরোধীরা করছেন আগামী ভোটের নিরিখে। তবে শ্মশানের চারিদিকে পাঁচিল দেওয়ার কাজ চলছে । তাই ভিত খুঁড়তে গিয়ে কিছু হাড়গোড় বেরিয়েছে এর বেশী কিছু নয়। আর সমস্ত বিরোধী পক্ষের বক্তব্য প্রশাসন দ্রুত তদন্ত করে আসল সত্যটা সামনে আনুক।

5
600 views