
প্রয়াত রামকৃষ্ণনগর জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক ও
সহ-সভাপতি নিখিল চন্দ্র ভট্টাচার্য।
শ্রীভূমি জেলার রামকৃষ্ণনগর বিধানসভা কেন্দ্রের কদমতলা এলাকার নিখিল চন্দ্র ভট্টাচার্য
ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার দিকে ছিলো বিশেষ আকর্ষণ। যার জন্য রামকৃষ্ণনগর অঞ্চলের আরো বেশকয়েকটি ক্লাবের সাথে তিনি সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। কোনো এক সময়ে রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের খেলার মাঠে নিজের ক্লাবের হয়ে অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন। শুধু ম্যাচ খেলেননি ক্লাবের বিভিন্ন খারাপ সময়ে ক্লাবের পাশেও একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রামকৃষ্ণনগর জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসেবে নিজের দায়িত্ব নিষ্ঠা সহকারে পালন করে গেছেন। এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার যেকোনো ছোট বড় প্রতিযোগিতা হলেই উনি সব সময় এগিয়ে আসতেন। রামকৃষ্ণ নগর শহরের ছোট-বড় সকল মানুষের সাথে উনার সম্পর্ক ছিল খুব ভালো। চাকরি জীবনে তিনি বন বিভাগের করিমগঞ্জ জেলার মুখ্য কার্যালয়ে ফরেস্ট রেঞ্জার পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণ করার পরও খেলাধুলা থেকে এক পাও পিছিয়ে যাননি। রামকৃষ্ণনগর পৌরসভার অন্তর্গত এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রাক্তন বন বিভাগের ফরেস্ট রেঞ্জার তথা রামকৃষ্ণনগর জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক ও সহ-সভাপতি নিখিল চন্দ্র ভট্টাচার্য আর নেই। মঙ্গলবার রাত দশটা চল্লিশ মিনিটে উনার নিজস্ব বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী রচনা ভট্টাচার্য, দুই পুত্র যথাক্রমে শিব শংকর ভট্টাচার্য ও শম্ভু শংকর ভট্টাচার্য, দুই পুত্রবধূ দীপশিখা ভট্টাচাৰ্য ও অনিন্দিতা ভট্টাচার্য, এক কন্যা রাজশ্রী চক্রবর্তী, জামাতা জয়দীপ চক্রবর্তী, এক নাতি সৌরভ ভট্টাচার্য, দুই নাতিন আরহী ভট্টাচার্য, জয়িতা চক্রবর্তী ও অসংখ্য আত্মীয় পরিজনদের। বেশ কয়েক বছর থেকে তিনি হার্টের সমস্যায় ভোগ ছিলেন। উনার মৃত্যু সংবাদে পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে শেষ দর্শন করে কাতারে কাতারে জনগণ প্রয়াতের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উনার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবার বর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন রামকৃষ্ণ নগর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি সৈকত দত্ত চৌধুরী, সভাপতি মৃগাঙ্ক দত্ত চৌধুরী, সম্পাদক বিশ্বতোষ সেন, ভাইকিং ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সন্দীপ দত্ত ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। এছাড়াও শোক প্রকাশ করেন রামকৃষ্ণনগর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সেক্রেটারী অরিজিৎ দে, আর এন ডি ব্রাঞ্চের সভাপতি অম্লান দে, প্রাক্তন খেলোয়াড় গোবিন্দ দে, ভজন ভট্টাচাৰ্য, কেদার ভট্টাচাৰ্য, রামকৃষ্ণনগর কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান দীপঙ্কর দাস, বাংলা বিভাগের প্রধান নীলু নাথ, অফিস এসিস্ট্যান্ট ঋষিকেশ নাথ, রিন্টু রঞ্জন পাল ও কলেজের অন্যান্য কর্মীরা।
নিউজ ডেস্ক রির্পোট AB News বাংলা