
নবদ্বীপে এক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নস্যাৎ করলো অপর বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরা!
বিদ্যালয়ের পরিবর্তে SI অফিসেই হাজিরা প্রধান শিক্ষকের!
নবদ্বীপে এক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নস্যাৎ করলো অপর বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরা!
বিদ্যালয়ের পরিবর্তে SI অফিসেই হাজিরা প্রধান শিক্ষকের!
(মুর্শিদাবাদ থেকে আবুল কাশে)
গত কয়েকদিন যাবৎ নবদ্বীপ শহরের বুকে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটে চলছে ব্যতিক্রমী ও বেনজির ঘটনা।
যা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে শিক্ষক সহ বিভিন্ন মহল।
নবদ্বীপ শহরে নন্দীপাড়া রোড এলাকার বকুলতলা ফীডার ইন্সটিটিউশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা দপ্তরের নির্দিষ্ট অনুমতি পত্র থাকা সত্বেও প্রধান শিক্ষক রূপে কাজে যুক্ত হতে গেলে ক্রমাগত বিদ্যালয়ের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত ও হেনস্থার শিকার হতে হয় শিক্ষক কৌস্তুভ সরকারকে।
এমনকি পরিস্থিতি সামলাতে বিদ্যালয়ে হাজির হতে হয়েছিল নবদ্বীপ থানার পুলিশ প্রশাসনকেও।
পরবর্তী সময়ে শিক্ষক কৌস্তুভ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর নবদ্বীপ সরকারপাড়াস্থিত SI অফিসে তার হাজিরা দিতে থাকেন।
শনিবার সেই অফিস বন্ধ থাকলেও এদিনও দেখা যায় নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষক কৌস্তুভ সরকারকে SI অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে।
সামগ্রিক ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন আমার কাছে সরকারি নির্দেশ আছে, আমি দপ্তরের নিয়মানুযায়ী হাজিরা দিচ্ছি, আজ si অফিস বন্ধ তাও আমি সময়ে এসে নিয়মানুযায়ী হাজিরা দিয়েছি ও ছুটির সময় পর্যন্ত থাকবো ও সমস্ত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ই-মেইল মারফত পাঠিয়ে দেবো,
পাশাপাশি তিনি আরও জানান আমার সাথে এই ঘটনা ঘটানোর কোন কারন খুঁজে পাচ্ছি না,
কেন ওখানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো আর কিভাবে হলো আমার জানা নেই, তবে তিনি এদিন বলেন আমাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে যারা বাধা দিচ্ছেন নিজেদের অভিভাবক বলে দাবী করেছে সেখান থেকেই আমাকে বলা হয় আপনি বকুলতলা ফীডার ইন্সটিটিউট এ আসলে আসুন কিন্তু আপনাকে একটি মুচলেকা দিতে হবে আপনি সাত দিনের মধ্যে এই স্কুল ছেড়ে চলে যাবেন, পাশাপাশি তিনি আরও জানান বিগত কয়েক দিনের ঘটনার খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেখানে অভিভাবকদের সাথে বহিরাগতের উপস্থিতিও আমি দেখেছি।
পাশাপাশি বকুলতলা ফীডার ইন্সটিটিউট এর বেশ কিছু অভিভাবকদের তোলা অভিযোগ ছিলো তিনি এই বিদ্যালয়ে এসে ছাত্র ছাত্রী দের জ্বালিয়ে দেবে বলেছেন, শিক্ষক হিসেবেও তিনি ভালোনা, বিগত দিনে তিনি যে স্কুলে শিক্ষাকতা করেছেন সেখানেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আছে বলেও দাবী করতে শোনা গেছে, এদিন এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি কেমন তা বিগত দিনে যে খানে শিক্ষকতা করেছি তারই ভালো বলতে পারবে পাশাপাশি তিনি আরও জানান আমাদের এই পদোন্নতি হয়েছে শিক্ষ দপ্তরের দ্বারা ও আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে যেখানে গৌতম বাবু সহ আমিও আবেদন করেছিলাম, আমার কোন bad records থাকলে আমি আবেদন করার যোগ্য হতাম না।
পাশাপাশি শনিবার আমরা খোঁজ নিতে হাজির হয়েছিলাম নবদ্বীপ প্রনবানন্দ বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,
কৌস্তুভ সরকার যে সময় কালে ঐ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন তৎকালীন সময়ের ঐ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন কৌস্তুভ সরকার নিতান্তই একজন সজ্জন ব্যক্তি শিক্ষক হিসেবেও তিনি যথেষ্ট গুণী, তিনি যতদিন এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন বিদ্যালয়ের সময়ে কোনদিন কোন খারাপ আমরা দেখিনি,বা শুনি নি, তবে একজন প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন সেখানের কিছু অভিভাবক এটাও একটা দুঃখজনক ও সামগ্রিক ঘটনাটাও লজ্জাজনক বলেও দাবী করেন নবদ্বীপ প্রনবানন্দ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসুদেব অধিকারী।
পাশাপাশি এদিন আমরা প্রণবানন্দ বিদ্যাপীঠের বেশ কিছু অভিভাবকদের সাথেও কথা বলি শিক্ষক কৌস্তুভ সরকারের বিষয়ে, তারাও শিক্ষক কৌস্তুভ সরকারকে একজন সৎ ও ভালো গুণী শিক্ষক বলেই দাবী করেন পাশাপাশি বকুলতলা ফীডার ইন্সটিটিউট এর অভিভাবকদের তোলা সব অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেন তারা কিভাবে জানলো কৌস্তুভ বাবু খরাপ,
বরং এই বিদ্যালয় থেকে তিনি চলে যাওয়াতে আমরা ও আমাদের সন্তানদের মন খারাপ আমরা ওনার মতো একজন গুণী শিক্ষক কে হারালাম, পাশাপাশি একজন প্রধান শিক্ষককে এভাবে হেনস্থার ঘটনাকে তীব্র ভাবে নিন্দা করে বলেন এই বিদ্যালয়েও প্রধান শিক্ষক রূপে একজন এসেছেন তাকে আমরা সম্মানের সাথে বরণ করেছি, তাহলে তাদের সমস্যা কোথায়,
সব মিলিয়ে প্রাচ্যের সাহিত্যে অক্সফোর্ড বলে অভিভূত নবদ্বীপ শহরের বুকে দিনের পর দিন সরকারি অনুমতি থাকা সত্ত্বেও একজন প্রধান শিক্ষক কে বিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনা যে এক বেনজির ও লজ্জা জনক ঘটনারই রূপ দেয় তা বলাই বাহুল্য।