logo

সাঁওতাল পরিবারের বিদুষী দুহিতা শকুন্তলা পাল তাঁর পিতা জুমা কিসকুর অনুপ্রেরণায় "শকুন্তলম সাংস্কৃতিক সংগঠন"

ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার মধুপুর অঞ্চলের এক সচ্ছল পরিবারের পিতা স্বর্গীয় পারু কিসকু ও মাতা স্বর্গীয়া চামেলি কিসকুর সন্তান স্বর্গীয় জুমা কিসকু। স্বর্গীয় জুমা কিস্কুর পিতা ছিলেন কলকাতার সাধুকা পরিবারের একজন কেয়ারটেকার। (স্বর্গীয় জুমা কিসকু, জন্ম ১৯৪৯ মৃত্যু ২০২১।)
জুমা কিস্কু ছিলেন প্রতিভাবান। তাই সাধুকা পরিবারের প্রধান তাকে রামকৃষ্ণ মিশন(ব্লাইন্ড বয়জ) এ ৬-৭ বছর বয়সে পড়াশোনার জন্য ভর্তি করে দেন। কিন্তু জুমা কিসকু এতটাই প্রতিভাবান ছিলেন যে স্কুল জীবনে গান হারমোনিয়াম বাঁশি তবলা জিমন্যাস্টিক ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এবং কলকাতা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন ও স্বর্ণপদক কাপ পেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কলকাতায় যেখানে থাকতেন সেখান থেকে স্বর্ণপদ ও কাপ হয়ে গেছে ।বর্তমানে তার বিদুষী কন্যা শকুন্তলা পালের কাছে সামান্য কয়েকটি সার্টিফিকেট আছে।
এরপর কলকাতার আলিপুর ডিএসএলআর অফিসে ১৯৮১ তে যোগদান করে এবং ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। সেখানে তিনি উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন (ইনেস্পেকশন বিভাগে)। তবে জুমা কিস্কু চাকরি পাওয়ার আগে কলকাতা বিভিন্ন অঞ্চলে গানের শিক্ষক হিসেবে গৃহ শিক্ষকতা করতেন।
আর আজ সেই সাংস্কৃতিক মনোগ্ৰাহী ব্যক্তিত্বের অধিকারী স্বর্গীয় জুমা কিস্কুর সুযোগ্যা বিদুষী এবং পিতার থেকে প্রাপ্য মানুষের জন্য করার মনোভাবাপন্য কন্যা শকুন্তলা পাল তাঁর স্বর্গীয় পিতার সংস্কৃতি ঐতিহ্যের ইচ্ছা পূরণ করে ফেলেছেন বিগত ষষ্ঠ বছর ধরে। তাই তিনি "শকুন্তলম সংস্কৃতিক সংগঠনের" প্রতিষ্ঠাতা। বিনা পারিশ্রমিকে নৃত্য গীত ও হস্তশিল্পের উপরে বিভিন্ন রকম প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছেন। সম্প্রতি 30 তারিখ রবিবার এক ষষ্ঠ বর্ষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন বিপ্লবী নলিনী ঘোষ সভা ঘরে। উদ্বোধক অনিমেষ দাস (অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় বায়ুসেনা কর্মী ও গরুড় কমান্ডো শিক্ষক)। বিশ্বনাথ পাল (সভাপতি ও মুখ্য উপদেষ্টা) ও উত্তম কুমার ঘোষ (যাত্রা শিল্পী ও নাট্যকর্মী)।
বিচারকমণ্ডলী ছিলেন কনকলতা বিশ্বাস (আবৃত্তি), বিশ্বনাথ পাল (হস্তশিল্প), ডক্টর শর্মিষ্ঠা দেব (সংগীত ও অংকন) ও শিঞ্জিনী দেব।
প্রধান অতিথিরা- মহামায়া রুদ্র (লেখিকা ও রুদ্র সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা),
ডাক্তার অশোক খাঁড়া (কবি ও সাহিত্যিক), নিগমানন্দ মন্ডল (আনন্দ প্রকাশন), অসিত কুন্ডু (কবি ও নিজেকে ভালোবাসো সাহিত্য পরিবারে প্রতিষ্ঠাতা) জয়ন্তী রুদ্র ও রামকৃষ্ণ দাস (লেখক)।

0
378 views