
সংগ্রামী কণ্ঠস্বর ও মানবিকতার অগ্রদূত: বরাকের হোসেন আহমেদ, যিনি দুর্গতদের কাছে 'আশার আলো'
বরাক উপত্যকার জনজীবনে এমন কিছু মুখ থাকে, যারা কেবল আলোচনার বিষয় নন, বরং বাস্তব পরিবর্তনের প্রতীক। এমনই একজন হলেন হোসেন আহমেদ— অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট ইউনিয়ন-এর রাজ্যস্তরের নেতা এবং বরাক স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি। তাঁর পরিচয় কেবল রাজনৈতিক পদাধিকারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তিনি একাধারে একজন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এক মানবিক অগ্রদূত।
সাম্প্রতিক বন্যায় যখন করিমগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন, হাজার হাজার মানুষ যখন ঘর-বাড়ি ও জীবিকা হারিয়ে দিশেহারা, ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে এগিয়ে এলেন হোসেন আহমেদ ও তাঁর নেতৃত্বাধীন 'বানপাণি কর্মীরা'। কোমর জল ভেঙে, দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তাঁরা পৌঁছেছেন সেই সব প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে সরকারি সাহায্য পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে। হাতে ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেট, মুখে আশ্বাসের বাণী— এটাই ছিল তাঁদের সেই সময়ের একমাত্র পরিচিতি। খাবার, পানীয় জল, ওষুধপত্র থেকে শুরু করে জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র—সবকিছুই তাঁরা পৌঁছে দিয়েছেন দুর্গত মানুষের হাতে।
একজন স্থানীয় বৃদ্ধা চোখ মুছতে মুছতে বলেন, "বাবা, যখন ভেবেছিলাম সব শেষ, তখন এই ছেলেটা আমাদের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। ও শুধু ত্রাণ দেয়নি, আমাদের সাহসও যুগিয়েছে। ওকে দেখে মনে হয় যেন ঈশ্বরের দূত এসেছে।"
তবে, হোসেন আহমেদ শুধু বন্যাত্রাণেই সীমাবদ্ধ নন। সমাজের প্রতিটি অন্যায়, শোষণ এবং অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তাঁর কণ্ঠস্বর সর্বদা সোচ্চার। কৃষক আন্দোলন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচার—সব ক্ষেত্রেই তিনি প্রতিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তাঁর বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্র ও যুব সমাজ একত্রিত হয়ে ন্যায়বিচারের দাবিতে সরব হয়।